বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

মিছ বিবিধ মামলা সম্পর্কিত তথ্য

 

মিছ মামলার সকল তথ্য 

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৫০ ধারার ক্ষমতাবলে রাজস্ব অফিসার অর্থাৎ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ধারা-১১৬, ১১৭ ও ১৪৩ এর দ্বারা নামজারি/জমাখারিজ/জমাএকত্রিকরণ-এর যে আদেশ দিয়ে থাকেন তা উপযুক্ত প্রমাণাদির সাপেক্ষে রিভিউ বা পুনর্বিবেচনারও অধিকার রাখেন। উক্ত ১৫০ ধারার আওতায় যে সব কারণে বিবিধ মামলা দায়ের করা হয় সেগুলি হল -

মিছ মামলা কি ভাবে দায়ের করে 

১) নামজারি মামলা দায়েরের ফলে জমির মালিকের নামে সৃষ্ট খতিয়ানে কোন প্রকার ভুল হয়ে থাকলে এবং উক্ত ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে অন্য কোন নামজারি মামলার সম্পৃক্ততা থাকলে এক্ষেত্রে মিছ্ বা বিবিধ মামলা দায়েরের আবেদন করতে হয়। 


★ উদাহরণসরূপ- কোন নামজারি খতিয়ানে দখল অনুযায়ী খতিয়ান না হয়ে থাকলে, জমির পরিমাণ কম-বেশি হলে ইত্যাদি;

মিছ মামলার মাধ্যমে খতিয়ান সংশোধন 

২) বিএস খতিয়ানে কোনরূপ করণিক ভুল থাকলে বিবিধ মামলা দায়েরের মাধ্যমে করণিক ভুল সংশোধন করা যায়;


৩) কোন ব্যক্তি কোন জমির মালিকানা লাভ করলে প্রার্থিত জমিতে পূর্বে অপর কোন ব্যক্তি নামজারি করিয়ে থাকলে এবং এই কারণে জমির স্বল্পতা পরিলক্ষিত হলে প্রথমে উক্ত নামজারি খতিয়ান বাতিল বা সংশোধন এবং তারপর নিজ নামে নামজারিকরণের উদ্দেশ্যে প্রথমে বিবিধ মামলা দায়ের করতে হয়।


 ★ মিছ (বিবিধ) মামলা দায়েরের পদ্ধতি:


১) একটি সাদা কাগজে আপনার জমির এলাকার নিকটস্থ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর কি ধরণের প্রতিকার পেতে আগ্রহী তা বিস্তারিতভাবে লিখতে হবে। এছাড়া বিবাদীর নাম, বিবাদীর নামে কোন খতিয়ান সৃজিত হয়ে থাকলে তার বিবরণ এবং নিজের স্বত্ব কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার বিবরণ থাকতে হবে;


নামজারি আবেদনের মতো ৭০/- (সত্তর ) টাকা অনলাইনে জমা দিতে হবে।


আবেদনে উল্লিখিত যুক্তির স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।


 


মিছ (বিবিধ) মামলা দায়েরের জন্য আবেদনের পর অনুসৃত পদ্ধতি:

মিছ (বিবিধ) মামলার আবেদন করার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কার্যালয়ে শুনানী গ্রহণ করা হয়;

শুনানী অন্তে আবেদনের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে বিবিধ মামলা দায়েরের আদেশ হয় নতুবা আবেদন খারিজ করা হয়;

মিছ্ মামলা দায়ের হলে সাধারণত সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে শুনানীর জন্য নোটিস দেয়া হয় অথবা প্রত্যেক মামলার ধরণ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।


মিছ কেস নিষ্পত্তি করার উপায়


মিছ মামলাসমূহ নথি ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি এবং শুনানীরতারিখ ও মামলাটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে মামলার প্রার্থী ও প্রতিপক্ষগণ ঠিকমত জানতে না পারার কারণে মামলা নিষ্পত্তিতে বছরের পর বছর সময় লাগে। এরফলে মামলার সকল পক্ষ আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক ক্ষতির মুখোমুখি হন।


চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান


মিছ মামলা রুজু করার পূর্বে আবেদনকারীর মালিকানার স্বপক্ষীয় কাগজপত্র (খতিয়ান, মাঠ পর্চা, দলিল, ডিক্রি) জমা নিয়ে প্রাথমিক শুনানি শেষেপ্রার্থী ও প্রতিপক্ষগণের বিস্তারিত তথ্য (নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নং ইত্যাদি) গ্রহণপূর্বককরে মামলা রুজু করা হয়। এরপর শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করে যথাযথভাবে নোটিশ জারীর নিমিত্ত মোবাইলের মাধ্যমে প্রার্থী ও প্রতিপক্ষের অনুকূলে ম্যানুয়াল নোটিশ ও এসএমএস প্রেরণ করা হয়। প্রথম আদেশেই প্রয়োজন অনুসারে সরেজমিন তদন্তের আদেশ প্রদান করা হয় এবং প্রতিবেদন ধার্য তারিখের মধ্যে পাওয়ার জন্য মিস কেস সহকারী মোবাইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর উভয়পক্ষের শুনানী গ্রহণ করা হয় এবং উপযুক্ত কারণ ব্যতিত সময়ের আবেদন মঞ্জুর না করে স্বল্পসময়ে আদেশ দেয়া হয়। মিস কেস সংশ্লিষ্ট নামজারী কেসসমূহ খুজে পাওয়ার জন্য সনওয়ারী নামজারী মামলা সমূহ বিন্যস্ত করে রেকর্ডরুমে সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রত্যেকটি মামলা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য কেস ফরোয়ার্ড ডায়রী যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়।

অনলাইনে ভুমির সকল ধরনের সেবা পেতে ক্লিক 


সরকারি সব ধরনের সেবা পেতে এখানে ক্লিক করুন


ই- নামজারী আবেদন করতে ক্লিক করুন 


খতিয়ান ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন  





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন