এস এ পর্চা বের করার নিয়ম?
এস এ পর্চা বের করার নিয়ম?- কম বেশি আমাদের সকলের পর্সা বা খতিয়ান সম্পর্কে জানা আছে। তার পরেও যাদের জানা নেই আপনাদের জন্য বলা হচ্ছে। খতিয়ান বা পর্চা হছে রেকডিও মালিকের নামে জমির মালিক হিসেবে একটা গুরুত্বপূণ্য কাগজ। যা দ্বারা জমির মালিক নিশ্চিত করা হয়। তাছাড়া জমির খতিয়ানের কপি দ্বারা আপনি আপনার জমি যে কারো কাছ থেকে মালিকানা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন।আর এই সিস্টেমটা হচ্ছে ই-পর্চা। বা অনলাইনে খতিয়ান দেখা।
এস এ পর্চা কি?
এস এ পর্চা হলো ১৯৫০ সনে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২৭ হতে ৩১ ধারা অনুযায়ী ১৯৫৬-১৯৬৩ সালে যে খতিয়ান বা পর্চা প্রস্তুত করা হয়ে ছিলো সেটা হচ্ছে এস এ পর্চা। আরেকটু সহজ করে বললে ১৯৫০ সনে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রনয়ন করার পরে যে পর্চা প্রস্তুত করা হয় সেটাকেই বলে এস এ পর্চা। কেউ কেউ এই পর্চাকে ৫৬ এর রেকর্ড বা ৫৬ পর্চা বলে। কোন কারনে যদি এই পর্চা হারিয়ে ফেলেন তবে কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ঘবে বসে এস.এ পর্চা সংগ্রহ করবেন আজ সেই বিষয়টি শেয়ার করবো।
হারিয়ে যাওয়া এস এ পর্চা কি ভাবে বের করব?-
আপনি যদি কোনো কারণে আপনার এস.পর্চা হারিয়ে ফেলেন আর এস.পর্চা বা ৫৬ এর রেকর্ড খোঁজান তবে এই লেখাটি আপনার জন্য । আপনি এখন থেকে ঘবে বসে ভূমির যে কোনো পর্চা ডাউলোড করতে পারবেন। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে যে কোন পর্চা সংগ্রহ করতে পারবেন। হারিয়ে যাওয়া এস.এ পর্চা আপনি ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন।
যে ভাবে পর্চা ডাউনলোড করবেন।
এখনে ক্লিক করে যে কোন ই- পর্চা ডাউনলোড করুন
পর্চা ডাউনলোড বা ই পর্চা হলো জমির পর্চা অনলাইন থেকে নেয়ার একটি অসাধারণ মাধ্যম। আপনি প্রথমে আপনার মোবাইরে থাকা যে কোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করুন । এবার সার্চ অপশনে ই পর্চা অথবা
লিখে সার্চ করুন। এবার নাগরিক কর্ণার থেকে খতিয়ান অনুসন্ধানে ক্লিক করুন। এখন নিজের জেলার পাশে থাকা মানচিত্র থেকে সহজেই বেছে নিন। পর্চার ধরন থেকে আপনি যে পর্চা খোঁজ করছেন সেটি সিলেক্ট করুন।
এবার বাকি বিষয় গুলো খেয়াল করুন। আপনি আপনার উপজেলা, মৌজার নাম, খতিয়ান,, দাগ নাম্বার, মালিকের নাম, অথবা মালিকের পিতার নাম লিখে নিচে থাকা ক্যাপচা কোডটি লিখুন। তারপরে পরবর্তী ধাপে ক্লিক করুন। এবার আপনি আপনার এন আইডি কার্ডের নাম্বার টাইপ করুন। একটি সচল মোবাইল নাম্বার দেন এবার যাচাইয়ে ক্লিক করুন। সবশেষে আপনার সামনে যে যোগ করার জন্য বলা হবে সেটা সঠিক যোগফল দিয়ে আপনি আপনার এস.এ পর্চা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। অথবা সরাসরি খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য পাশে থাকা লিংকে ক্লিক করুন
অনলাইন ভুমি সেবার জন্য আরো অনেক গুলো সেবা বাংলাদেশ সরকার চালু করে দিয়েছে। তার মধ্যে আরো যে গুলো রয়েছে। তা হলো-
★ ই-নামজরি
★ নাগরিক কর্ণার।
★ নামজারি ট্রাকিং।
★ ভূমি উন্নয়ন কর।
★ ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড।
★ রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা।
★ বাজেট ব্যবস্থাপনা।
★ অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা।
★ উত্তরাধিকারী অ্যাপ।
★ ই-বুক অ্যাপ সহ অনলাইনে পর্চা দেখার বা অনলাইন থেকে যে কোন পর্চা সংগ্রহ করার মতো নানাবিধ পদক্ষেপ রয়েছে।
জমির মালিকানা বের করার উপায় অনলাইনে ২০২২
জমির মালিকানা বের করার উপায় কি?
আপনারা কি জানেন। বর্তমান সময়ে এসে আমাদের দেশ ও সমাজতন্ত্র ব্যবস্থা খুবই উন্নত হয়েছে। এ যুগে দাঁড়িয়ে অসম্ভব বলতে প্রায় সকল জিনিসই বর্তমানে সম্ভব হয়ে উঠেছে।
তেমনই একটি জিনিস হল অনলাইনের মাধ্যমে জমির মালিকানা বের করার উপায়।
আমরা কখনোই চিন্তা করতে পারিনি কোন জমি সংক্রান্ত তথ্য আমরা অনলাইনের মাধ্যমে কখনো বের করতে পারবো।
কিন্তু প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের ফলে আজকের এই একবিংশ শতাব্দীতে অনলাইন থেকে জমির মালিকানা বের করা খুবই সহজ একটি উপায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই চাচ্ছেন জমি ক্রয় করতে। জমি আপনার পছন্দ হয়েছে।
আপনি যখন জমির মালিকের সাথে কথা বলবেন তখন তার কাছ থেকে যে খতিয়ান নম্বর টি দেওয়া হবে সে খতিয়ান নাম্বার অনলাইনে দেয়ার মাধ্যমে আপনি এর আসল মালিক কে এবং এ সংক্রান্ত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।
১] অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায় ২০২২
১.১] ঘরে বসে জমির মালিকানা বের করার নিয়ম পর্যায়ক্রমে দেয়া হল
১.২] ধাপ- ১
১.৩] ধাপ- ২
১.৪] ধাপ- ৩
১.৫]ধাপ- ৪
১.৬] ধাপ- ৫
১.৭] ধাপ- ৬
১.৮] জমির খতিয়ান বা পর্চা কি?
১.৯] খতিয়ানে কি কি উল্লেখ থাকে?
১.১০] অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার ওয়েবসাইট লিঙ্ক
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায় ২০২৩
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায়
এখন আমাদের দেশে অধিক পরিমাণে জমির বেচাকেনা চলছে। এরমধ্যে কে সঠিকভাবে জমি বিক্রি করছে আর কেইবা প্রতারণা করছে তা বুঝার উপায় নেই।
এ ধরনের জমি ক্রয় করার কথা চিন্তা করে অনেক মানুষই ভয়ে জমি ক্রয় করতে পারছে না। তাই বর্তমান সরকার জমি ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থা করেছে আরও সুন্দর এবং নিরাপত্তা সম্বলিত।
অনলাইনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি জমির মালিক সেটি বর্তমানে খুব সহজেই নির্ণয় বা বের করা যাচ্ছে। একটি দেশের সমাজ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশ যতোই উন্নয়নশীল।
বর্তমানে বাংলাদেশে কোন দিক থেকে পিছিয়ে থাকছে না অন্য সকল দেশের মতো আস্তে আস্তে বাংলাদেশের নিজেদের একটি প্রতিষ্ঠিত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলছে। উদাহরণস্বরূপ আমরা অনলাইন থেকে জমির মালিক বের করার উপায়টি ধরে নিতে পারি।
আমাদের দেশের উন্নতি সাধন হলেও প্রতিটি নাগরিক সচেতন নয়।
এমনও মানুষ রয়েছেন যারা প্রতারকের কথা বিশ্বাস করে অনেক টাকা তাদের হাতে তুলে দেন। কিন্তু তারা তার বিপরীতে যে জমিটি পাবার কথা তা পান না।
আরও পড়ুনঃ
ইউনিয়ন সমাজকর্মীর কাজ কী
উপ খাদ্য পরিদর্শক এর কাজ কি?- সহকারী উপ খাদ্য পরিদর্শক এর কাজ কি ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি | ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব এবং ক্যারিয়ার গড়ব
ঘরে বসে জমির মালিকানা বের করার নিয়ম পর্যায়ক্রমে দেয়া হল
এতক্ষন আমরা জমির বিসয়ে নানান জিনিস জানলাম। এখন আমরা অনলাইন থেকে ধাপ বাই ধাপ জমির মালিকানা বের করার উপায় সম্পর্কে জানব।
ধাপ- ১
আপনার যদি জমির দাগ ও খতিয়ান নম্বর জানা থাকে তাহলে আপনি সরাসরি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে গুগল ক্রোমে চলে যাবেন।
এবং https://mutation.land.gov.bd/এই ওয়েবসাইটটিতে চলে যাবেন। নিচে আপনাদের জন্য এই ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হবে সেখান থেকে আপনারা সরাসরি ওয়েবসাইটটিতে চলে যেতে পারবেন।
ধাপ- ২
ওয়েবসাইটটিতে আসার পর আপনারা একটু নিচের দিকে স্ক্রল করতে থাকুন।
নিচে গেলে আপনারা একটি অপশন খুজে পাবেন যেখানে লেখা থাকবে আর এস খতিয়ান। আপনারা সেই অপশন এর ওপর ক্লিক করে সেখানে ঢুকবেন।
মূলত আর এস খতিয়ান থেকে আপনারা জমির আসল মালিক এর নাম খুঁজে পাবেন।
ধাপ- ৩
সেখানে ঢোকার পর আপনার কাছ থেকে আপনি যে জমি বিক্রয় করতে চাচ্ছেন, সে জমিটি কোন জেলায়, কোন উপজেলায়, কোন গ্রাম ইত্যাদি নানান তথ্য আপনার কাছে চাওয়া হবে। এবং আপনি সঠিকভাবে সেখানে সঠিক তথ্যটি প্রদান করবেন।
ধাপ- ৪
সঠিক তথ্য প্রদান করবার পর আপনারা যখন ঠিক করবেন তখন সাথে সাথে আপনাদেরকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেখানে আপনাদের কাছ থেকে আরো নানান তথ্য নেওয়া হবে এবং কোনটি সঠিক তথ্য সেটি আপনাদেরকে নিজেরাই নির্বাচিত করতে হবে।
ধাপ- ৫
আপনারা সেখান থেকে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্বাচন করলে পরে যে পেজটি আসবে আমাদের চারটি অপশন দেখানো হবে।
সেখানে আপনাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে আপনারা ঠিক কোন মাধ্যমে আপনাদের জমির মালিকের নামটি জানতে চাচ্ছেন।
আপনারা সেখানে খতিয়ান অথবা দাগ নাম্বার টি বসিয়ে দিবেন সেখান থেকে আপনারা জমির মালিকের নাম কি দেখতে পারবেন।
ধাপ- ৬
আপনারা চাইলে সেখানে আপনি যদি জমির মালিকের নাম জেনে থাকেন তাহলে জমির মালিকের নাম বসালে সে জমি যদি ওই মালিকের হয়ে থাকে তাহলে জমির সকল তথ্য আপনার সামনে উঠে আসবে।
এ কয়েকটি ধাপ অনুসরন করলে আপনারা সহজেই জানতে পারবেন একটি জমির আসল মালিক কে এবং কেউ আপনার সাথে প্রতারণা করবার চেষ্টা করছে।
এই নিয়মটি ব্যবহার করে আপনারা যদি জমির মালিক বের করেন তাহলে আপনাদের কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।
আরও পড়ুনঃ
জন্ম তারিখ বের করার নিয়ম
জমির খতিয়ান বা পর্চা কি?
জমির খতিয়ান বা পর্চা কি
মূলত জমির খতিয়ান ও পর্চা বলতে একই জিনিস কে বোঝানো হয়।
জমির মালিকানা প্রমাণ করবার জন্য সরকারি ভাবে যে দলিল রয়েছে তাকে খতিয়ান বলা হয়।
এক এক এলাকায় এই নামটি কে একেক নামে ডাকা হয়।
আইনিভাবে যদি আমরা খতিয়ান কি সেটা জানতে চাই।
তাহলে সেক্ষেত্রে বলতে গেলে বলা যায় সরকারিভাবে জমি জরিপ করার সময় জরিপের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ ফরম নং ৫৪৬২ (সংশোধিত) তে ভূমির মালিকানা দাগের বর্ণনা সহ নানা নদীর চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাকে খতিয়ান বলা হয়।
খতিয়ানে কি কি উল্লেখ থাকে?
খতিয়ানে কি কি উল্লেখ থাকে
মূলত জমির খতিয়ান এ নানান ধরনের মালিকানা তথ্য সহ বিভিন্ন বিষয়ক তথ্য উল্লেখ করা থাকে। যেমন-
জমির মালিকের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা।
প্রজা বা জমি দখলদারের নাম, ঠিকানা, পিতার নাম ও প্রজা বা দখলদার কোন শ্রেণীভুক্ত
প্রজা বা দখলদার কর্তক জমির অবস্থান, পরিমান ও সীমানা।
প্রজাস্বত্ব বিশেষ শর্ত ও তার পরিনতি।
পথ চলার অধিকার ও জমি সংলগ্ন অন্যান্য অধিকার।
নিজস্ব জমি হলে তার বিবরণ।
খতিয়ান নং, মৌজা নং, জেএল নং, দাগ নং, বাট্রা নং, এরিয়া নং ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।
২৬ ধারা মোতাবেক নির্ধারিত এবং ন্যায়সঙ্গত খাজনা।
খাজনা বৃদ্ধিক্রম থাকলে তার বিবরণ।
ইজারাকৃত জমির ক্ষেত্রে জমির মালিকের অধিকার ও কর্তব্য।
এস্টেটের মালিকের নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা।
খতিয়ান তৈরি করার সময় খাজনার পরিমান ও ২৮,২৯,৩০ বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা। গরু চরণভুমি, বনভুমি ও মৎস খামারের জন্য ধারণকৃত অর্থ।
খাজনার যে পদ্ধতিতে নির্ধারিত করা হয়েছে তার বিবরণ।
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার ওয়েবসাইট লিঙ্ক
ওয়েবসাইট লিঙ্কhttps://land.gov.bd/জরুরি ভূমি অফিস যোগাযোগ নাম্বার১৬১২২ওয়েবসাইট লিঙ্ক ও নাম্বার
এই গুলোর মাধ্যমে আপনারা সরাসরি ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে পারবেন।
শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক এর কাজ কি
জমির মালিকানা বের করার উপায়
জমির মালিকানা বের করার উপায় কি?
ভূমি মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইটে ডুকে খতিয়ান নাম্বার অথবা জমির দাগ নম্বর দিয়ে জমির মালিক বের করতে হয়।
জমির খতিয়ান বা পর্চা কি?
জমির মালিকানা প্রমাণ করবার জন্য সরকারি ভাবে যে দলিল রয়েছে তাকে খতিয়ান বলা হয়।
উপসংহার
মূলত বর্তমান সময়ে এসে আমরা ঘরে বসেই সকল কাজ করতে পারি।
তেমনি ঘরে বসে আমরা জমির মালিকানা বের কিভাবে করতে হয় সে সম্পর্কে আজকের পোস্টে আমরা জানলাম।
আমরা আপনাদেরকে জমির মালিকানা বের করার উপায় সঠিক ভাবে বুঝাতে পেরেছি।
তবুও যদি আপনাদের কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
এধরনের আরো অনেক নতুন নতুন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।